মিশন ও ভিশন
শুরুতেই বলে নেয়া দরকার, স্ট্রিট চিলড্রেন ফাউন্ডেশন হলো শাহ্ ফাউন্ডেশনের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। স্ট্রিট চিলড্রেন ফাউন্ডেশন শুধু শিশুদের নিয়ে কাজ করে।
জাতিসংঘের দুর্যোগবিষয়ক এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিশ্বব্যাপী ১১০টি দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েগেছে। প্রায় ১০০ কোটি শিশু-কিশোর স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বিশ্বের বেশিরভাগ উন্নয়নশীল দেশের দরিদ্র শিশুদের স্কুলে বিনামূল্য খাবারের ব্যবস্থা করার কথা উল্লেখ করে আশঙ্কা জানিয়েছে, স্কুলগুলো বন্ধ থাকলে শিশুরা উন্নত খাবার থেকে বঞ্চিত হবে। অন্যদিকে লেখাপড়ার দিকে তাদের আগ্রহ কমে গিয়ে স্কুল থেকে ঝরে পড়া শিশুদের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে।

The best way to not feel hopeless is to get up and do something
FAUZIA J CHOUDHURY
Founder & Trusteeজাতিসংঘ বলছে, ১৬ কোটি ৭০ লাখ শিশু দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করবে এবং ৭৫ কোটি মেয়ের শিশু বয়সেই বিয়ে হবে। বর্তমানে প্রায় ১২ কোটি ৪০ লাখ শিশু প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যায় না। আবার প্রতি ৫ জনে প্রায় ২ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা শেষ করে না। যদি বিশ্বব্যাপী সমতা আনতে সফলতা অর্জন করা যায়, তাহলে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিরোধ অযোগ্য নানা কারণে মারা যাবে বিশ্বের ৬ কোটি ৯০ লাখ শিশু।
করোনাভাইরাসের কারণে শিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে সৃষ্ট আর্থ-সামাজিক সংকটে এ বছর দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচ বছরের কম বয়সী ৩৯ লাখ শিশু অতিরিক্ত অপুষ্টিতে ভুগতে পারে, যার ফলে এসব শিশুরা ভয়াবহ রকমের শীর্ণকায় হবে।
এছাড়া অনুন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে শিশুদেরকে মাদক পাচার, চোরাচালানের মতো কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। মেয়ে শিশুদেরকে বানানো হচ্ছে যৌনকর্মী। অনেক সময় সামাজিক অবস্থার কারণে শিশুরা নিয়োজিত হয় বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে।
আমরা বলি, আজকের শিশু, আগামীর ভবিষ্যত। আগামীর ভবিষ্যতকে আমরা এভাবে ধ্বংস হতে দিতে পারি না। এই শিশুদের পাশে দাঁড়াতেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে স্ট্রিট চিলড্রেন ফাউন্ডেশন।
এবং স্ট্রিট চিলড্রেন ফাউন্ডেশনের কাজের ক্ষেত্রটি বিশ্বের সকল সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়েই।
একটা গল্প বলি। এক শিশুর গল্প। এই শিশুটির পরবার মতো পোশাক ছিল না। পেটপুরে খেতে পেত না। অভাবের কারণে তাকে স্কুল ছাড়তে হয়েছিল। শিশুটি যখন আবার স্কুলে যেতে চাইল, স্কুলের প্রধান শিক্ষক বললেন, সবাইকে দিয়ে কি সব হয়! গাঁয়ের সকলে পঁচিশ পয়সা, পঞ্চাশ পয়সা চাঁদা তুলে শিশুটির লেখাপড়ার খরচ দিয়েছিল। এই শিশুটি এখন একটি দেশের প্রধানতম ব্যাংকের গভর্নর।
বাংলা ভাষার কবি সুকান্ত তার ‘ছাড়পত্র’ কবিতায় এ পৃথিবীকে শিশুর বাসযোগ্য করবার অঙ্গীকার করেছিলেন।বস্তুত এই অঙ্গীকার সুকান্তর একলার নয়, সকল সুস্থধারার চিন্তাশীল মানুষদেরই। কেননা আজকের শিশুটিই একদিনআগামী পৃথিবীকে পরিচালন করবে। আজকের শিশু যদি রুগ্ন হয়, আগামীর পৃথিবীও রুগ্ন হবে। আজকের শিশু যদি নিরক্ষর হয়, আগামীর পৃথিবীও মূর্খ হবে। প্রকৃতির নিয়মেই এখন যারা দোর্দণ্ডপ্রতাপে পৃথিবী শাসন করছেন, কিছুদিন পর তাঁরা বৃদ্ধ হবেন। তখন তাঁরা কর্মক্ষম থাকবেন না। এখনকার দুর্বল রুগ্ন শিশুটিই তখন পরিণত মানুষ হবে। এবং অবধারিতভাবেই পৃথিবীর হাল তুলে নেবে হাতে। আর সে যতটা যোগ্যতা নিয়ে গড়ে উঠবে, ততটাই পাবে দেশ, জাতি, পৃথিবী ও এই আমরা- মনুষ্য প্রজাতি। আর ঠিক এ কারণেই পৃথিবীর প্রত্যেকটি শিশুরই যত্ন নেয়া খুব করে দরকার। কেননা আপনি জানেন না আগামী দিনটিতে কে কি হয়ে উঠবে।
আমরা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কথা বলছি। এই শিশুদের অনেকেরই কেউ নেই। এদের জন্যে কারও সহানুভূতিওনেই। ফুটপাতে এদের বাস। সেখানে শুয়ে স্বপ্ন দেখে। মানুষের মতো বেঁচে থাকতে পারার স্বপ্ন। যে জীবনে খাবারের কোনো অভাব থাকবে না। পরনে থাকবে না মলিন ছেঁড়া পোশাক। মাথার ওপর একটু ছাউনি থাকবে। এরা জানে না এদের এই স্বপ্নটির নাম ‘মৌলিক অধিকার।’ এরা এই অধিকার সঙ্গে নিয়ে জন্মেছে। সকল মানুষই এই অধিকার সঙ্গে নিয়ে জন্মায়। এসবের সঙ্গে আছে, নিরাপদ পানি, পুষ্টি, শিক্ষা এবং শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তা। কিন্তু এদের এসব অধিকার নিয়ে কারও ভাববার সময় কই!
আমরা ভাবতে চাই। আমাদের এই ভাবনার জায়গাটি থেকেই আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি স্ট্রিট চিলড্রেন ফাউন্ডেশন।আমরা আমাদের শ্রম, অর্থ আর প্রচেষ্টার সবটুকু নিয়ে রাস্তার ধারে ঘুমাতে থাকা শিশুটিকে তুলে পেট ভরে খাওয়াতে চাই, তাকে একটি ভালো কাপড় পরাতে চাই, তার মাথার ওপর একটি নিশ্চিত ছাউনি দিতে চাই। আমরা যদি একটি শিশুর জীবনও সুন্দর করতে পারি, মানুষের মতো গড়তে পারি, তবেই সার্থক হবে স্ট্রিট চিলড্রেন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা। এই শিশুটিকে একটু জায়গা ছেড়ে দিলে সে একটা কিছু হয়ে উঠবে। আর তাতে উপকৃত হবো আমরাই, উপকৃত হবে এই আমাদেরই পৃথিবী। আমাদের, এই মানুষদের পৃথিবী। আপনিও আসুন আমাদের সঙ্গে, শামিল হোন আমাদের, স্ট্রিট চিলড্রেন ফাউন্ডেশনের স্বপ্নে।
What Make Us Different

We Educate

We Help

We Build

We Donate
Years of
Foundation
monthly
donors
incredible
volunteers
successful
campains
Meet Our Team

Fauzia J Choudhury

Sadia J Choudhury

Salman J Choudhury

Shah J. Choudhury

Husneara Choudhury

Motahar Hossain

Faruk Khan

Dr. Shahjahan Mahmood

Rathindranath Roy

Somesh C Das

AKM Fazlul Hoque

Fahad Solaiman

Moinul Islam

What People Think
Being a human, i have very interest helping those children who live in poverty. I'm very glad to be a part of Street Children Foundation.

Motahar Hossain
Advisor
Dr. Shahjahan Mahmood
Advisor
Rathindranath Roy
Advisor
Somesh C Das
Advisor
AKM Fazlul Hoque
Advisor
Fahad Solaiman
Advisor
Moinul Islam
Advisor


More then 100 000+
People Were Helped
Become the One Who is Considered a Hero
Elementum sagittis vitae et leo duis ut diam quam nulla. Sodales ut etiam sit amet nisl purus in mollis nunc. Faucibus scelerisque eleifend donec pretium arcu cursus euismod quis viverra.